ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া। বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছে আমেরিকা।
এদিকে আমেরিকা ও ইউক্রেন যৌথভাবে জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর এ দাবি খারিজ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ক্রেমলিন অপপ্রচার চালাচ্ছে। ইউক্রেনের ওপর তারা জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে। তাদের আগ্রাসী নীতি থেকে বিশ্বের নজর ঘুরিয়ে দিতে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে আমেরিকার বিরুদ্ধে।”
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পেস্কি বলেন, “মস্কোর এই দাবি পূর্বপরিকল্পিত। এই একই ধরনের দাবি শোনা গিয়েছিল চীনের মুখেও। আমরা আগেও এ রকম দেখেছি। এখন রাশিয়ার মুখেও সেই একই দাবি শোনা যাচ্ছে। এর থেকে এটি স্পষ্ট যে, এই ধরনের মিথ্যা প্রচার চালিয়ে পাল্টা ইউক্রেনেই জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের ছক কষছে রাশিয়া।”
এর আগে রোববার (৬ মার্চ) রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অফিশিয়াল টুইট থেকে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা কিয়েভে জৈব এবং রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির বেশ কয়েকটি প্রমাণ পেয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই অস্ত্র তৈরিতে আমেরিকা যে ইউক্রেনকে অর্থ সাহায্য করছে, তারও প্রমাণ মিলেছে।
এর জবাবে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, “রাশিয়া টুইট করে যা দাবি করেছে, সেই তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই। ওরা বরাবরই পশ্চিমি দেশগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। কিন্তু নিজেরাই অপরাধ করে।”