• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

বিয়ে করলেন জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৩, ০২:২৫ পিএম
বিয়ে করলেন জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি ফাতিমা ভুট্টো বিয়ে করেছেন। শুক্রবার করাচীর ৭০ ক্লিফটনে তার পারিবারিক বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। তার ভাই জুলফিকার আলী ভুট্টো জুনিয়র সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি নবদম্পতির ছবিও প্রকাশ করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি ও লেখক ফাতিমা ভুট্টো বিয়ে করেছেন। ফাতিমা ভুট্টোর স্বামীর নাম গ্রাহাম।

তার ভাই জুলফিকার আলী ভুট্টো জুনিয়র টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘আমাদের বাবা শহীদ মীর মুর্তজা ভুট্টো এবং ভুট্টো পরিবারের পক্ষ থেকে একটি খুশির খবর শেয়ার করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। আমার বোন ফাতিমা ও গ্রাহাম গতকাল আমাদের ৭০ ক্লিফটনের বাড়িতে বিয়ে করেছেন। দেশের কঠিন পরিস্থিতির কারণে আমরা মনে করেছি জমকালোভাবে উদযাপন করা অনুচিত হবে।

তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে ফাতিমার প্রিয়জনরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার দাদার গ্রন্থাগারে। জায়গাটি ফাতিমার জন্য অনেক কিছু।

তিনি সবাইকে নবদম্পতির জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।

খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে শুধু পরিবারের লোকজন ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। বর-কনে এখনো তাদের বিয়ের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেননি।

কে এই ফাতিমা ভুট্টো:

ফাতিমা ভুট্টো ১৯৮২ সালের ২৯ মে কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুর্তজা ভুট্টো পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভু্ট্টোর ছেলে এবং একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য। জুলফিকার আলী ভু্ট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টোও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

ফাতিমা মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে ২০০৪ সালে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করেন। এছাড়া ২০০৫ সালে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে দক্ষিণ এশীয় সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থ লিখেছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তার কবিতার বই ‘হুইসপারস অব দ্য ডেজার্ট’ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস পাকিস্তান দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘সং অব ব্লাড অ্যান্ড সোর্ড’ নামে স্মৃতিকথাসহ বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন, যা বেশ সাড়া ফেলেছিল। সেসব বইয়ে ভুট্টো পরিবারের অশান্ত রাজনৈতিক ইতিহাসের গল্প রয়েছে। তিনি ‘দ্য শ্যাডো অব দ্য ক্রিসেন্ট মুন’ নামের একটি উপন্যাস লিখেছেন।

বই লেখা ছাড়াও ফাতিমা ভুট্টো দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখছেন।

তিনি ২০০৬ সালে লেবানন গিয়ে লেবাননে ইসরায়েলি আক্রমণের খবর পরিবেশন করেন। তাছাড়া ২০০৭ সালে ইরান ও ২০০৮ সালে কিউবা সফর করেন সাংবাদিক হিসেবে খবর পরিবেশন করার জন্য। তার লেখা নিউ স্টেটসম্যান, ডেইলি বিস্ট, গার্ডিয়ান, ক্যারাভান ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়।

তবে তিনি ফেসবুকের প্রতি অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি কখনো এতে যোগ দেননি। তিনি করাচিতেই বসবাস করেন।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে ভুট্টো পরিবারের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টিতে ভুট্টো পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ১৯৭৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জুলফিকার আলী ভুট্টোকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

Link copied!