• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩০, ১৪ রজব ১৪৪৬

বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার খনি আবিষ্কার, মজুদ হাজার টনের বেশি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম
স্তরে স্তরে মজুদএক হাজার টনের বেশি সোনা। ছবি: সংগৃহীত

খবরটা একেবারে চোখ কপালে ওঠার মতো। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সোনার খনি সন্ধান পাওয়া গেছে এবার। যে খনিতে স্তরে স্তরে মজুদ আছে এক হাজার টনের বেশি সোনা। বাংলাদেশি টাকায় যে সোনার দাম গিয়ে দাঁড়াতে পারে ১০ লাখ কোটির বেশি।

নতুন সর্ববৃহৎ এই স্বর্ণখনি আবিষ্কারের খবর শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) জানাজানি হতেই বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। হু হু করে বাড়তে থাকে হলুদ ধাতুর দাম। যদিও এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের জেরে সোনার দাম তলানিতে নামার আলামত মিলছিল। তবে নতুন করে খনি আবিষ্কারের খবরে তর তর করে বেড়ে যাচ্ছে সোনার দাম।

সুপার কম্পিউটার পরিচালিত থ্রি ডি মডেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে খনি বিজ্ঞানীরা তথ্য পাচ্ছেন যে, আবিষ্কৃত খনির গভীরে গিয়ে অতিরিক্ত সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সেজন্য ভূগর্ভের তিন কিলোমিটার নিচে নামতে হবে খনি শ্রমিকদের। যদিও এমন অভিযানকে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করছেন ভূতাত্ত্বিকরা।

অবশ্য, সোনার খনি আবিষ্কারের পেছনে যে সীমাহীন ঘাম ছোটাতে হয়েছে চীনা বিজ্ঞানীদের তা নিয়ে অনেকেই ভাবছেন না। চীনা ভূতাত্ত্বিক ব্যুরোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা চেন রুলিন জানাচ্ছেন, স্বর্ণখনির হদিস পেতে পাথুরে ভূপৃষ্ঠের কোর এলাকা খোদাই করতে হয়েছে। তার ভাষ্য, “খনি থেকে তোলা প্রতি টন হলুদ ধাতু শোধন করলে ১৩৮ গ্রাম বিশুদ্ধ সোনা পাওয়া যাবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, “বেজিংয়ের দাবি সত্য হলে হুনানের স্বর্ণ আকরিককে উৎকৃষ্ট মানের বলে স্বীকৃতি দিতে হবে।” কারণ, আকরিক শোধন করে ৮ গ্রাম বা তার বেশি সোনা পাওয়া গেলে সেই তকমা দেওয়া হয়।

নতুন আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনির অবস্থান চীনের হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টিতে। ভূতাত্ত্বিক ব্যুরোর তথ্যমতে, হুনানের মাটির নিচে মাত্র দুই কিলোমিটার গভীরতায় ছড়িয়ে আছে ৪০টি স্বর্ণ শিরা বা গোল্ড ভেইন।

এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির মালিক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানকার ‘সাউথ ডিপ’ খনিতে রয়েছে ৯০০ টন হলুদ ধাতু। এবার হাজার টনের বেশি মজুদ নিয়ে রেকর্ড স্বর্ণখনির মুকুট উঠে এলো বেজিংয়ের মাথায়। যা আর্থিক দিক থেকে বেজিংকে আরও শক্তিশালী করল।

স্বর্ণখনিতে কাজ করছেন অনুসন্ধানকারীরা।

চীনে খনিজ সম্পদের সন্ধান পেতে বিগত ২০২২ সালে এক দশমিক এক লাখ কোটি ইউয়ান খরচ করেছে বেইজিং। বাংলাদেশি টাকায় যা ১৯ লাখ কোটি প্রায়। ধাতু শিল্পে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে চীন সরকার এমন ব্যয় করেছে। সূত্র: আনন্দবাজার।

Link copied!