• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে জাতিসংঘের মহাসচিবও


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ০২:০৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে জাতিসংঘের মহাসচিবও

সম্প্রতি অনলাইনে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কিছু গোপন নথি ফাঁস হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার প্রতি অনেকটা নমনীয় জাতিসংঘ এমন সন্দেহে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকেও নিবিড় নজরদারিতে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফাঁস হওয়া নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, নথিতে কৃষ্ণসাগর দিয়ে শস্য রপ্তানির চুক্তির বিষয়ে গুতেরেস ও তার ডেপুটির মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়টি আলোকপাত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকটের শঙ্কার মুখে গত জুলাই মাসে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় হয়েছিল চুক্তিটি। নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার স্বার্থ পূরণ করে হলেও চুক্তিটি রক্ষা করতে গুতেরেস মরিয়া ছিলেন। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গুতেরেস রাশিয়ার রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ফাঁস হওয়া আরেকটি নথিতে গুতেরেস এবং তার সহকারী আমিনা মোহাম্মদের মধ্যে একটি খোলামেলা কথোপকথন বর্ণনা করা হয়েছে।

এতে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের এক আহ্বানে ‘হতাশা’ ব্যক্ত করেন গুতেরেস। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ইউরোপকে আরও বেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছিলেন উরসুলা।

গুতেরেস ও আমিনা সম্প্রতি আফ্রিকার নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়েও কথা বলেছেন। গুতেরেসের ডেপুটি আমিনা মোহাম্মদ বলেন, “কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো একজন নির্মম ব্যক্তি। তাই আমি তাকে বিশ্বাস করি না।”

এদিকে রাশিয়া প্রায়ই অভিযোগ করে আসছে যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের শস্য এবং সারের রপ্তানি প্রভাবিত হচ্ছে। উদ্বেগের সমাধান না হলে বিএসজিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছিল মস্কো।

যদিও নথির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন গুতেরেস।

তবে সংস্থাটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, বিশ্বের দরিদ্র সম্প্রদায়ের কথা বিবেচনা করেই এমন অবস্থান নিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, “আমরা খাদ্যের দাম কমানোর জন্য আমরা যা করতে পারি তা-ই করার চেষ্টা করেছি।”

গুতেরেসের এ প্রচেষ্টা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যায় স্পষ্টতই অসন্তুষ্ট জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, রাশিয়ার যুদ্ধ প্রশ্নে গুতেরেস আগেই তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

Link copied!