• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩০, ১৫ রজব ১৪৪৬

ফেসবুকে ‘বিদায়’ লিখে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকের আত্মহত্যা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
ফেসবুকে ‘বিদায়’ লিখে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিকের আত্মহত্যা
চীনা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক চিয়ুং ইয়াও। ছবি: সংগৃহীত

চীনা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক চিয়ুং ইয়াও। চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার অন্যতম বিখ্যাত কাজ ‘মাই ফেয়ার প্রিন্সেস’ টিভি সিরিজ। যা অনেক তারকার ক্যারিয়ারের সূচনা করেছে।

চিয়ুং তরুণ প্রজন্মের প্রতি দারুণ সহানুভূতিশীল ছিলেন। তাদের পরামর্শ দিয়ে বলতেন, ‘জীবনকে সহজে ছেড়ে দেবে না’। জীবন সম্পর্কে তার দর্শন ছিল অদ্ভুত। তিনি বিশ্বাস থেকেই বলতেন, ‘৮৬ বা ৮৭ বছর বয়সে পৌঁছানোর পরেই মৃত্যুকে সামনে আনা উচিত।’

জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক চিয়ুং ইয়াও-এর বয়স এখন ৮৬ বছর। আর এই বয়সে এসেই অদ্ভুত দর্শনের অধিকারী চিয়ুং ইয়াও নিজের মৃত্যুকে সামনে নিয়ে এলেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) চীনের নিউ তাইপেই সিটির নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তাইওয়ানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে জরুরি পরিষেবাগুলো জানিয়েছে, চিয়ুং ইয়াও আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার আগে তার ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট থেকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

আত্মহত্যার আগে চিয়ুং ইয়াও তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে লেখেন, “বিদায়, আমার প্রিয়জনেরা। এই জীবনে তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।” তবে অনেকেই বলছেন, চিয়ুং এর করা পোস্টটি তার মৃতদেহ আবিষ্কারের আগে না পরে প্রকাশিত হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

চীনের সিচুয়ানে ১৯৩৮ সালে জন্ম নেন চিয়ুং ইয়াও। তার প্রকৃত নাম চেন চে। তার পরিবার দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধের সময় চীনের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত হয়। ১৯৪৯ সালে চীনের মূল ভূখণ্ডে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা দখল করার পর তার পরিবার তাইওয়ানে চলে আসে।

চিয়ুং ইয়াও মাত্র ১৮ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন। তার লেখা ৬০টিরও বেশি জনপ্রিয় উপন্যাস রয়েছে। তার উপন্যাসগুলো পরবর্তীতে চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজে রূপান্তরিত হয়।

চিয়ুং ইয়াও-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাহিত্যপ্রেমী ও চলচ্চিত্র অনুরাগীরা।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!