যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ফিলিস্তিনে অধিক হারে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনায় ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি দুবাইয়ে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, “গাজায় অনেক বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হচ্ছে। সত্যি বলতে, গাজা থেকে পাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের ছবি ও ভিডিও আমরা পাচ্ছি, তা খুবই ভয়ংকর এবং ধ্বংসাত্মক।”
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা বলেছে, শুক্রবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর গাজার চার শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে তারা। হামাস বলছে, তারা তেল আবিবসহ ইসরায়েলের অনেক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলা চালিয়েছে।
বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা, এবং যুদ্ধবিরতির মেয়াদ নবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান জোরদার করা হলেও কার্যত এখনো কোনো ফলাফল আসেনি।
জাতিসংঘের হিসেব মতে, গত আট সপ্তাহের যুদ্ধে গাজার ১৭ লাখ বাসিন্দার দুই-তৃতীয়াংশই বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাসমূহ বলছে, গাজায় খাবার ও পানির সংকট চলছে। অধিকাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ই অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা নির্বিচার হামলা শুরু করে। ইসরায়েল হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করে।
এদিকে উভয় পক্ষে ঘোষিত মোট ছয়দিনের যুদ্ধবিরতি নতুন করে আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। ইসরায়েল ও হামাস উভয়ে উভয়কে এ জন্যে দায়ী করছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি হামাসকে সম্পূর্নভাবে নির্মূল করতে চায় , তাহলে এ যুদ্ধ ১০ বছর স্থায়ী হবে।
কিন্তু শনিবার তেলআবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসকে নির্মূলসহ সব লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
নতুন করে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেছেন, স্থল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া জয়ের অন্য কোনো উপায় নেই। সূত্র-বাসস।
আপনার মতামত লিখুন :