বিশ্ববাজারে ধারাবাহিকভাবে দরপতন হচ্ছে অপরিশোধিত তেলের। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সব ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। রয়টার্স জানায়, গত আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমেছে তেলের দাম।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েলের দাম কমে দাঁড়ায় ৮৫ দশমিক ৫০ ডলার ও ডব্লিউটিআই ৭৮ দশমিক ৯১ ডলার। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডব্লিউটিআই ক্রুড ওয়েলের দাম আরও কমে দাঁড়ায় ৭৮ দশমিক ৭৪ ডলারে এবং ব্রেন্ট ক্রুডের দাম দাঁড়ায় ৮৬ দশমিক ১৫ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারাল রিজার্ভসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বাড়িয়েই চলেছে। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে মন্দার আশঙ্কা। তবে একইসময় নিরন্তর শক্তিশালী হচ্ছে মার্কিন ডলার। চলতি বছর ডলারের বিনিময় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই দুই ঘটনার যুগপৎ সংঘটনের ফলেই কমছে তেলের দাম।
এর আগে ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের সময় বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তার সুফল পায়নি কেউ। পুরো বিশ্বের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কম দামের তেল উপকারে আসেনি। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে উৎপাদন কার্যক্রম বাড়লেও তেলের পড়তি দামের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না।
এর মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর তা বেড়ে পৌঁছায় ১৩০ ডলারে। তবে রাশিয়ার তেল রপ্তানি স্বাভাবিক থাকায় তেলের দাম এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ কমেছে। কিন্তু ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে তেলের দাম কমার সুবিধা মানুষ পাচ্ছে না।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    





































