ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রতিদিন চার ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি দেবে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন। গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে যেতে সাধারণ মানুষকে এই সুযোগ দেওয়া হবে। এই বিরতির সময় প্রতিদিন তিন ঘন্টা আগেই জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিচার্ড হেক্ট বলেন, স্থানীয়ভাবে এই বিরতির মানে যুদ্ধবিরতি নয়। তিনি বলেন, গাজায় মানবিক ত্রাণকাজ এবং অধিবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিরতি দেওয়া হবে।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েল এর আগে গাজায় মানবিক ত্রাণকাজ এবং অধিবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে বিরতি দিতে রাজি থাকলেও যুদ্ধবিরতি করতে রাজি হয়নি। এবারও তারা ‘কোনও যুদ্ধবিরতি হবে না’ বলে স্পষ্ট করেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বলেছে, চার ঘণ্টা খুবই কম সময়। তারা যুদ্ধবিদ্ধস্ত গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবারও দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, জিম্মিদের মুক্তির জন্য তিনি এখনো দীর্ঘ বিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাতে তিন দিনের বিরতি কার্যকরের জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, কোনো ধরনের মানবিক বিরতির সুফল পেতে জাতিসংঘের সহযোগিতা নেওয়া প্রয়োজন। আর এতে সংঘাতে লিপ্ত সব পক্ষের সম্মতি দরকার।
