সাত মাসের সংঘাতের পর অবশেষে সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে গেছে ইসরায়েল ও হামাস। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৭টা থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় প্রথম দফায় ১৩ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনী হামাস।
যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের এ বিরতিতে হামাস তাদের কাছে বন্দী ২৪০ জনের মধ্যে ৫০ জনকে ও ইসরায়েল তাদের বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি দেবে।
বন্দী মুক্তির প্রক্রিয়া হিসেবে আল-জাজিরা জানায়, প্রথমে ইসরায়েলি বন্দীদের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে যাবেন রেড ক্রসের সদস্যরা এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের হস্তান্তর করবে। এরপর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শেষে বন্দীদের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার জন্য তেল আবিবের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর আবার স্থানীয় সময় রাত ১২টায় দক্ষিণ পূর্ব ইসরায়েলের হাইফার ড্যামন এবং মেগিদ্দো কারাগারে আটক থাকা ৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। এরপর তাদের দখল পশ্চিম তীরের রামাল্লার দক্ষিণে ওফার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখান থেকে কাছাকাছি একটি ক্রসিংয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হাতে বন্দী প্রতি ১০ ইসরায়েলিকে মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি আরও একদিন করে বাড়নোর শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল।



































