হামাসের হামলার জেরে ফিলিস্তিনের গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। অপহৃত ইসরায়েলিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় পানি, খাবার, বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ পরিস্থিতিতে গাজায় মানবিক সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) রকেট হামালা এবং প্যারাগ্লাইডারে চড়ে ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলার পাশাপাশি স্থলপথেও অনুপ্রবেশ করেছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের তৈরি ইস্পাতের ‘দি গ্রেট স্মার্ট ফেন্স’ ভেঙে ঢুকে পড়ে দেড় শ জনের বেশি ইসরায়েলিকে বন্দী করেন হামাস যোদ্ধারা। তাদের গাজার ভূগর্ভস্থ কোনো সুড়ঙ্গে আটকে রাখা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মুক্ত করতে স্থলপথে গাজা ভূখণ্ডে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতে ইতিমধ্যে নিয়মিত এবং সংরক্ষিত ব্যাটেলিয়নগুলো মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এরই পাশাপাশি ছয় দিন ধরে গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় কার্যত কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে গাজার কয়েকটি হাসপাতালও।
এ পর্যন্ত ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০ জন। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি এবং আমেরিকার নাগরিকদের মুক্তির জন্য কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছে। মিসর সরকারও এ বিষয়ে হামাস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।