ইউএস সেক্রেটারি শুক্রবার থেকে নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফর করবে বলে জানান স্টেট বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, সেক্রেটারি ব্লিংকেন শুক্রবার ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবে, তারপর তিনি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে যাবেন।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম আগে থেকেই ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের উল্লেখ করে এ সফরের কথা প্রকাশ করেছে। হামাসের অতর্কিত হামলার পর ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন প্রদানের উদ্দেশ্যে সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব এন্টনি ব্লিংকেন। দীর্ঘদিনের এ সফরে আমেরিকান এ কূটনৈতিক জর্দান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর সফর শেষে পুনরায় ইসরায়েলে ফিরে আসবেন।
১৮ ই অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সাথে তেল আবিব সফরে তিনি সঙ্গে ছিলেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি সীমান্ত হামলায় হামাস ১৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে এবং ২৩০ জন মানুষকে জিম্মি করেছে।
ইসরায়েলের গাজায় করা পাল্টা বোমা হামলায় ৮৫০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে- গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এ বক্তব্যে সারা বিশ্বে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বড় সমর্থক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদান করছে।
বাইডেন ইসরায়েলের সঙ্গে ইউক্রেনের জন্যও তহবিল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে কংগ্রেসকে। তবে সিনেট সদস্যদের শুনানিতে ফিলিস্তিনি সমর্থকরা বাধা প্রদান করে সিনেটর রুম থেকে বের হওয়ার সময় বলেন, এখন প্রয়াজন যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনিরা পশু নয়, তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিৎ। শুনানি শেষে বর্তমান এ সংঘাতের পর ভবিষ্যতে কি কি ঘটতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন ব্লিংকেন। তিনি আরও বলেন, “হামাসের হাত থেকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি সরকারের নিয়ে নেওয়া উচিত।”