• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কঙ্গোতে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহত অন্তত ১৭৬


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৩, ১০:১৭ এএম
কঙ্গোতে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহত অন্তত ১৭৬

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ১৭৬ জন নিহত হয়েছেন। ভারী বর্ষণের পর নদীর পানি দুই কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে প্রবেশের কারণে দেশটিতে সৃষ্ট বন্যায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। একজন আঞ্চলিক কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দক্ষিণ কিভু প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার একটি নদীর পানি উপচে বুশুশু ও নিয়ামুকুবি গ্রামে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে

দক্ষিণ কিভুর গভর্নর থিও এনগওয়াবিদজে কাসি বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৭৬ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, বন্যায় এখনো অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তবে স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্য কাসোল মার্টিন বলেন, ‘২২৭টি মরদেহ পাওয়া গেছে। মানুষ খোলা জায়গায় ঘুমাচ্ছে। স্কুল এবং হাসপাতাল বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।’

যদিও শুক্রবার দেশটির আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে বাড়িঘরগুলো ডুবে রয়েছে। বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ পড়ে রয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে গেছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা একটি কাঠের শেডের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং রেড ক্রস কর্মীরা মৃতদেহগুলো এক স্থানে জড়ো করছিলেন।

দক্ষিণ কিভু প্রদেশে বন্যা এবং ভূমিধস অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। ২০১৪ সালের অক্টোবরে সেখানে এমন বিধ্বংসী বন্যার ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় কঙ্গোর এই অঞ্চলটিতে সাত শতাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। সে সময় ১৩০ জনের বেশি লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

এর আগে, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।

এ ছাড়া ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে আফ্রিকার এই দেশটির অন্যান্য অঞ্চলেও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত মাসে নর্থ কিভু প্রদেশে ভূমিধসের একদিন পর অন্তত ২১ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

Link copied!