হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যায় প্রধানমন্ত্রীও জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করে চাকরীচ্যুত হয়েছেন দেশটির প্রধান প্রসিকিউটর বেড-ফোর্ড ক্লাউড।
গত ৭ জুলাই নিজ বাসভবনে হামলায় নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি। হত্যায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীকে ধরতে গিয়ে প্রসিকিউটর জানান, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও আছেন তার সন্দেহের তালিকায়।
জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুরোধ জানিয়ে বিচারক গ্যারি ওরেলিয়েনকে চিঠি দেন এই প্রসিকিউটর। হত্যাকাণ্ডের প্রধানমন্ত্রীর জড়িত থাকার যথেষ্ট আলামত তার কাছে রয়েছে - এমন দাবি জানান তিনি।
প্রসিকিউটর আরও জানান, প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মূল সন্দেহভাজনদের একজন, পলাতক জোসেফ বাডির সঙ্গে দুবার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী হেনরি। সেসময় সন্দেহভাজন জোসেফ প্রেসিডেন্টের বাসার খুব কাছে অবস্থান করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই আততায়ীরা প্রেসিডেন্টকে গুলি করে হত্যা করে।
প্রধানমন্ত্রীর হাইতির বাইরে যাওয়া ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সুপারিশ করেছিলেন প্রসিকিউটর। তবে হাইতির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের অনুমতি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব নয়।
সেই সুযোগে বুধবার প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল বরখাস্ত করেন প্রসিকিউটরকেই। এক চিঠিতে ক্লাউডেকে বলেন, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আপনাকে পদ থেকে অপসারণের করা হচ্ছে।”
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    





































