• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত ১৬


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইয়ে নিহত ১৬

সুদানে দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর মধ্যে রকেট ও গুলি বিনিময়ে কমপক্ষে ১৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। শনিবার একটি স্থানীয় আইনজীবী ইউনিয়ন জানিয়েছে, দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের রাজধানী নিয়ালা শহরে এ হতাহতের ঘটেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে সুদানে শুরু হওয়া সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ নেই। দেশটির সেনাবাহিনী ও র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে প্রতিদিনই প্রাণ ঝরছে বেসামরিক মানুষের।

দারফুরের স্থানীয় আইনজীবী ইউনিয়ন জানিয়েছে, দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের রাজধানী নিয়ালা শহরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। লড়াইয়ের কারণে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ ১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ওই পরিবারের আরও এক সদস্য আহত হয়েছেন। পশ্চিম দারফুরেও বেসামরিকরা স্নাইপারদের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে এল জেনিনাসহ চাদের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।

এর আগে ১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হয়। সংঘাতের কারণে রাজধানী খার্তুমে বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন লাখো বাসিন্দা। অনেক স্থানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

সংকট নিরসনে সেনা ও আরএসএফের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা কয়েক দফা শান্তি আলোচনায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু কোনো পক্ষই তা শেষ পর্যন্ত রক্ষা করেনি। ফলে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির, যিনি প্রায় ৩ দশক সুদানের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেছিলেন। দেশটির সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ঘটে এই অভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানের মূল নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং জেনারেল হেমেদতি উভয়েই।

রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সুদানের ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে প্রশ্রয় দিতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। তার শাসনামলের ৩০ বছর কঠোর ইসলামি শাসন ও শরীয়া আইন জারি ছিল সুদানে।

Link copied!