অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অকাস চুক্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ ফ্রান্স। সম্পর্কের অবনতির আগেই তাই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে ফোন করে আশ্বস্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিবিসি জানায়, অকাস সামরিক চুক্তি নিয়ে তিক্ততার অবসান চায় যুক্তরাষ্ট্র। সে উদ্দেশ্যেই বুধবার টেলিফোনে ম্যাখোঁর সঙ্গে আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আলাপ করেন বাইডেন। এছাড়া অক্টোবর শেষ দিকে বৈঠক বসার আগ্রহ জানিয়েছেন দুই নেতা।
ফোনালাপের পর যৌথ বিবৃতিতে দুই প্রেসিডেন্ট জানান, আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতির উন্নয়ন করবে মিত্র দেশগুলো। এছাড়া ন্যাটো জোটকে শক্তিশালী করতেও ফ্রান্স ও ইউরোপের গুরুত্ব তুলে ধরেন বাইডেন।
গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ত্রিদেশীয় চুক্তির প্রতিবাদ জানায় ইউরোপের আরেক পরাশক্তি ফ্রান্স। প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরেয়ে নেয় দেশটি।
রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠানোর পর ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভেস লে ড্রিয়ান বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত এই চুক্তির জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে কয়েক শ কোটি ডলারের সামরিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া আমাদের বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। আমাদের পেছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে।”
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অকাস চুক্তির আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি আর সাইবারের নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নত করবে তিন দেশ। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তি দেবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। চুক্তির কারণে ফ্রান্সের সঙ্গে চার হাজার কোটি ডলারের ১২টি সাবমেরিন নির্মাণের চুক্তিটি বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া।
দুই সপ্তাহ আগেও ফ্রান্সের কাছ থেকে সাবমেরিন পাওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত বদল করে দেশটি। আর অকাস চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই সে খবর জানতে পারে ফ্রান্স।