কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত নৌ ঘাঁটিতে প্রশিক্ষিত ডলফিন মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, সাগরতলে আক্রমণ থেকে নৌবহরকে রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে মস্কো।
স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর নেভাল ইনস্টিটিউট জানায়, সেভাস্টোপল বন্দরে নৌ ঘাঁটির স্যাটেলাইট চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর সময় রাশিয়ার সমুদ্রসীমায় দুটি ডলফিন মোতায়েন রাখা হয়েছিল।

এর আগেও যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ডলফিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। জলজ এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি বিভিন্ন বস্তু উদ্ধারে ও শত্রুপক্ষের ডুবুরিদের ঠেকাতে ব্যবহার করা হয়।
সেভাস্তোপল নৌ ঘাঁটি রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ক্রিমিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে এটি দখল করেছিল মস্কো।
সেভাস্তোপলের কাছে একটি অ্যাকুয়ারিয়ামে ডলফিনদের প্রশিক্ষণ দেয় রাশিয়া। সোভিয়েত শাসনের শুরু থেকেই এই প্রকল্প চালু রয়েছে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় মাইনের মতো পানির নিচের বিস্ফোরক শনাক্ত করতে ডলফিন ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। ২০১৮ সালের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, সিরিয়া যুদ্ধের সময়ও তারতুসে নৌ ঘাঁটির সুরক্ষায় ডলফিনও ব্যবহার করেছিল রাশিয়া।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    





































