• ঢাকা
  • রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে দেরি কেন?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১, ০৪:২৬ পিএম
তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে দেরি কেন?

১৫ আগস্ট কাবুলের দখল নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করে তালেবান। তবে আফগানিস্তানে নতুন এই সরকারকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি কোন দেশ।

আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে থেকেই পাকিস্তান, চীন ও রাশিয়ার সমর্থন পেলেও সরকার ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পায়নি তালেবান প্রশাসন। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে সেই কারণ জানা গেলে বিবিসির অনুসন্ধানে।

বিবিসির বিশ্লেষক সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নিজামী মনে করেন, আগেভাগে তালেবানকে স্বীকৃতি দিয়ে অন্য দেশের বিরাগভাজন হতে চাচ্ছে না কেউ। সম্প্রতি আফগান প্রধানমন্ত্রী মোল্লাহ হাসান আখুন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। তবে বৈঠকের পর তিনি জানান, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় এখনও আসেনি।

নতুন কাবুল সরকারের সঙ্গে সখ্যতা থাকার পরেও স্বীকৃতির প্রশ্নে পাকিস্তান এখনও নিশ্চুপ। আফগানিস্তানে খাবার ও ওষুধ পাঠানো ও বিমান যোগাযোগ চালু করলেও তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ইসলামাবাদ।

এদিকে তালেবানের কাবুল দখলের চীনের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেকেরই চোখে পড়ে। তবে নতুন সরকারকে স্বাগত জানালেও স্বীকৃতি দেয়নি বেইজিং।

সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নিজামী বলেন,পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে একটি দেশ যেন আরেকটি দেশের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান তাকিয়ে আছে চীনের দিকে। উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান হয়তো রাশিয়ার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

ধারণা করা হচ্ছে প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোর সমন্বয় করেই আফগানিস্তান ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে পাকিস্তান। আর তাই পাকিস্তানের উদ্যোগে বুধবার বৈঠক করেছেন চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

তবে খুব শীঘ্রই স্বীকৃতি না পেলে আন্তর্জাতিক সহায়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতা দুটোই হারানোর আশঙ্কায় আছে তালেবান। আর তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই সব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানর চেষ্টা করছে প্রশাসন।

Link copied!