ভারতশাসিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতা সৈয়দ আলি গিলানি ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) শ্রীনগরের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে গিলানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তবে এতে শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যদের যোগ দিতে অনুমতি দেয় পুলিশ।
গিলানির মৃত্যুর পর উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কায় শ্রীনগরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কেন্দ্র সরকার। গিলানির বাড়ির আশেপাশের সড়কে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকায় ইন্টারনেট ও ফোন সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। কারফিউ জারিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১৫ বছরের বেশি সময় ভারতের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পরেও কাশ্মীরে ভারতীয় শাসনের বিরোধিতা করায় তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। গত ১১ বছর ধরেই গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানি রাজনীতিবিদরাও তার মৃত্যুতে শোক জানান।
তাঁর বিরুদ্ধে ‘কাশ্মীর পাকিস্তানের অংশ হওয়া উচিৎ’ - এমন বিশ্বাস করার অভিযোগ করেন অনেকেই। তাঁর দল জামাত-এ-ইসলামিকে ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এক টুইটে গিলানিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে আনুষ্ঠানিক শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।