যুক্তরাজ্যের ৫৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করলেন কনজারভেটিভ নেতা লিজ ট্রাস। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বালমোরালে এক অনুষ্ঠানে ট্রাসকে নিযুক্ত করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
দায়িত্ব গ্রহণের পর মন্ত্রিসভা গঠনে মনোযোগ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। লিজ ট্রাসের মন্ত্রিসভায় রয়েছে বেশ কয়েকটি চমক।
কনজারভেটিভ পার্টিতে যারা ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাককে সমর্থন করেছিলেন, তাদের প্রায় কেউই স্থান পাননি ক্যাবিনেটে। একমাত্র যুক্তরাজ্য ও ওয়েলসের নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল মাইকেল এলিস এর ব্যতিক্রম। তবে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হলেও তিনি পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন না।
দায়িত্ব গ্রহণের পরই যুক্তরাজ্যের নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে কোয়াসি কোয়ার্টেংকে নিয়োগ দেন ট্রাস। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস তার আগের দায়িত্বেই থাকছেন।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জেমস ক্লিভারলি। নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হয়েছেন সুয়েলা ব্রাভারম্যান। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকছেন মিশেল ডোনেলান। আর যুক্তরাজ্যের নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন ট্রাসের কাছের বন্ধু থেরেসে কফে।
নতুন শিক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন কিট মাল্টহাউস। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন কেমি ব্যাডেনচ। আইনমন্ত্রী হয়েছেন ব্রান্ডন লুইস আর অর্থমন্ত্রীর পদ ছেড়ে আন্তঃসরকার সম্পর্ক ও সমতাবিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন নাদিম জাহাবি।
অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লর্ড ট্রু। ট্রাসের ঘনিষ্ঠ জ্যাকব রিস-মগ ব্যবসা, জ্বালানি ও শিল্পমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতৃত্ব দেবেন সাবেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডান্ট।