রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকায় হযরতপুর সেতুর নিচ থেকে অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে তার স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে আটক করেছে র্যাব।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক জানান, সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার রাতেই অভিনেত্রীর স্বামী নোবেল ও নোবেলের বন্ধু ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি গাড়িও জব্দ করা হয়।
কাজী রমজানুল হক আরও জানান, অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বাসা ঢাকার গ্রিন রোড এলাকায়। তিনি তিন-চার দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর নিখোঁজের ঘটনায় তার পরিবার কলাবাগান থানায় একটি জিডি করেছে বলেও জানান কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সালাম মিয়া জানান, কেরানীগঞ্জ আলীপুর সেতুর পাশ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সন্ধ্যায় মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এরপর শিমুর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করে তার স্বামী নোবেলকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন শহিদুল ইসলাম খোকন। ওই মামলা নোবেলের বন্ধু ফরহারকেও আসামি করা হয়।
অভিনেত্রী শিমুর বোন ফাতেমা জানান, রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয় শিমু। সন্ধ্যা ৭টায় শিমুর এক বন্ধু শিমুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায়। পরে রাত ১১টায় কলাবাগান থানায় যায় জিডি করা হয়।
বড় পর্দায় অভিনয় করেছেন রাইমা ইসলাম শিমু। ২০২০ সালে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, ১৯৯৮ থেকে তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ২২টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।