যুক্তরাষ্ট্রে একসঙ্গে পারিবারিক আবহে দেখা গেছে শাকিব খান ও শবনম বুবলীকে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। ওই সময় নেটিজেন ও ভক্তরা অনেক প্রত্যাশা রাখলেও এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি অপু বিশ্বাস। এবার এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী। তিনি জানান, তার ফেসবুক পেজের অ্যাডমিনরা শাকিব-বুবলীর ছবি তাকে পাঠিয়েছিলেন। এরপরই মূলত বিষয়টি তার নজরে আসে।
অপু বিশ্বাস জানান, মূলত শাকিব খানকে তিনি ছোট করতে চাননি বলেই নীরব ছিলেন।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘লাস্ট দেড় মাস আমি ফেসবুকে একদমই নেই। এসএসসি পরীক্ষার আগে খুব বেশি বান্ধবী বা আত্মীয়স্বজনদের বাসায় ঘুরতে যাওয়াটা একটু বাধাগ্রস্ত মনে হয়, যখন একটা সময় আসে যে, আমাকে অনেক কাজ করতে হবে, প্রতিষ্ঠিত হতে হবে; তখন মনে হয় যে ফেসবুকটা আসলে বান্ধবীদের কাতারে পড়ে। কী হয়েছিল ওই সময়, সেটা আমি সেই সময় দেখিনি। পরে আমার অ্যাডমিনরা কিছু ছবি পাঠিয়েছিল, এইগুলো আসলে ওই রকম আহামরি কিছু লাগে না।’
অপু আরও বলেন, ‘আমি এখানে কাজ করতে এসেছি। কোনো কিছু নিয়ে অভদ্রতা হোক বা আমার ব্যক্তিত্বের বাইরে চলে যাক, সে রকম কিছু করতে আসিনি। কিছুটা সময় করা হয়ে গিয়েছিল। আমি আসলে ওই দিন থেকেই এইসব এন্ড (বন্ধ) করে দিয়েছি।’
সচরাচর দেখা যায়, সামাজিক মাধ্যমে অপু একটি পোস্ট দিলে বুবলী পাল্টা পোস্ট দেন, আবার বুবলী কোনো পোস্ট দিলে অপু পাল্টা পোস্ট দেন। তাদের পাল্টাপাল্টি পোস্ট নেটিজেনরা উপভোগ করেন। কিন্তু এবার অপুর নীরবতাকে তার ভক্তরা ভাবছেন, তিনি বুঝি হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে অপুর ভাষ্য, ‘হাল ছেড়ে দেওয়া বা হাল ধরার তো কিছু নেই। কষ্টের কিছু নেই। আমি কাজ করছি, কাজ করে যেতে হবে। আমি ১৫ জুন সবকিছু স্টপ আউট করে দিয়েছি। যেদিক থেকেই বলেন, বাচ্চাটা কিন্তু মোর ইমপোরটেন্ট। বাচ্চাটা অনেক বড় সেতুবন্ধন। চাইলেই যেকোনো সাইড থেকে কেউ অফ করতে পারবে না।’
এমনকি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আর যেতে চান না বলেও জানান অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে ওই মানুষটাকে (শাকিব খান) ছোট করা হচ্ছে। যে মানুষটাকে ছোট করার কথা আমি কখনো কামনা করি না।’
































