অবশেষে জামিন পেলেন মাদক-কাণ্ডে গ্রেপ্তার শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। গ্রেপ্তারের ২৬ দিন পর মুম্বাইয়ের উচ্চ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করলেন। গেল মঙ্গলবার ও বুধবার আরিয়ানের জামিনের শুনানি অসমাপ্ত ছিল। তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার শুনানি শেষ হয়। খবর এনডিটিভির।
ছেলের জামিনের জন্য শাহরুখ মুম্বাইয়ের শীর্ষ স্থানীয় আইনজীবী ভাড়া করেছিলেন। দফায় দফায় জামিনের আবেদন করা হয়েছে, শুনানি হয়েছে, কিন্তু আদালত বারবার এনসিবির পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। অবশেষে জামিনের আবেদন গ্রহণ করলেন আদালত।
আরিয়ানের বিরুদ্ধে এনসিবির বিস্তর অভিযোগ। প্রথম পর্যায়ে বলা হয়েছিল, তিনি গত চার বছর ধরে মাদক গ্রহণ করেন। এমনকি দেশ ও বিদেশের বিভন্ন মাদক সরবরাহকারীর সঙ্গেও নাকি তার যোগ রয়েছে। কয়েক দিন আগে নতুন অভিযোগ তোলা হয় আরিয়ানের বিরুদ্ধে। সেটা হলো, বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গেও নাকি মাদক নিয়ে আলাপ করেছেন আরিয়ান। এ কারণে অনন্যার বাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হয়।
এদিকে, শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) আঞ্চলিক পরিচালক (মুম্বাই প্রধান) সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলেন মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল। অভিযোগ, শাহরুখপুত্রের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে ২৫ কোটি রুপির অর্থ লেনদেন হয়েছে এবং এর মধ্যে ৮ কোটি রুপি পেয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এনসিবির এ কর্মকর্তা। অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে প্রমাণ আছে বলে দাবি করেছেন প্রভাকর।
মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এনডিপিএসের ৮সি, ২০বি, ২৭, ২৯ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
মুম্বাইয়ের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে চলমান মাদক পার্টি থেকে ২ অক্টোবর রাতে আরিয়ান খানসহ মোট আট জনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে চেপে বসেছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারা।