• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষার জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২২, ১২:২৯ পিএম
শিক্ষার জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি

শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও ঈদের আগেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বক্তারা। 

বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নূর হোসেন বলেন, “সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যসহ বিভিন্ন অবমূল্যায়নের অবসান এবং শিক্ষাকে বৈশ্বিক উপযোগী টেকসই ভিত্তি দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিগুলো করে আসছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু করোনাকালে শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের নানান ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া এই ক্ষতি পুষিয়ে আনা অনেকখানি সম্ভব হবে।”

বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা দাবীগুলো জানিয়ে বলেন, “এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। আসন্ন ঈদের আগেই এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুরূপ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি কলেজে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে প্রেষণে দায়িত্ব প্রদান বন্ধ করতে হবে এবং যে সমস্ত এমপিওভুক্ত কলেজের শিক্ষকদের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মাউশি ও শিক্ষা বোর্ডসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল প্রতিষ্ঠানে সরকারি শিক্ষকদের ন্যায় যোগ্যতার ভিত্তিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে।”

মো. মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা আরও বলেন, “অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকসহ সকল স্তরের নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। প্রভাষকদের ১২ ও ১৫ বছরের চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকা সাপেক্ষে পূর্বের মতো অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দিয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগ জটিলতা দূর করতে হবে। শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি এবং অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের পর্যাপ্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হলে অধ্যক্ষদের পঞ্চম গ্রেডে বেতন প্রদান করতে হবে। অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষককে ছয় মাসের বেশি সময় সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে না মর্মে হাইকোর্টের রায় অনুসারে অতিদ্রুত সরকারি গেজেট প্রকাশ করতে হবে এবং অবসর গ্রহণকারী শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর কল্যাণ সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাজেটের কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বোর্ডে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।” 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, অধ্যক্ষ এস এম একরামুল হক, অধ্যক্ষ মো. আবদুর রউফ, অধ্যক্ষ দিলারা খানম, অধ্যক্ষ মো. আব্দুল মালেক, অধ্যক্ষ মো. আখতারজ্জামান, অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা খোশনবীশ, অধ্যক্ষ মো. হারুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ মো. বশির আহমেদ, অধ্যক্ষ রনজিত কুমার বিশ্বাস, অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, অধ্যক্ষ মো. জহিরুল্লাহ।

Link copied!