আড়াই মাসেরও অধিক সময় ধরে প্রাধ্যক্ষ সংকটে ভুগছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থীরা। ফলে হলের ডাইনিং বন্ধসহ নানা কাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওই হলের ১৬০ জন আবাসিক শিক্ষার্থীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাজী নজরুল ইসলাম হলে ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এমদাদুল হককে দুই বছরের জন্য হল প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সেই দায়িত্ব শেষ হয়। কিন্তু নতুন করে এখনো কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর হল খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি তিন হলে ডাইনিং চালু হলেও নজরুল হলে এখনো চালু হয়নি ডাইনিং। ডাইনিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জিনিসপত্রেরও রয়েছে ঘাটতি। আর এসব জিনিসপত্রের ক্রয়ের জন্য হল প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর দরকার।
এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটা হলের প্রভোস্ট না থাকা বিষয়টা দুঃখজনক। প্রভোস্ট না থাকার জন্যই হলের নানা বিষয়ে আমাদের সমাধানে বেগ পেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে ডায়নিং চালু হলেও আমাদের হলে এখন পর্যন্ত চালু হয় নাই। দ্রুত আমাদের হলে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হোক।
এদিকে, হলে প্রভোস্ট না থাকার সুযোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের মতো হলে শিক্ষার্থী উঠানো, রুম বণ্টন ও পরিবর্তনসহ নানা কাজ নিজেরাই করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা ছাত্রলীগের সকল মিটিং মিছিলে যায় তাদেরকে ভালো সিট দেওয়া হয়, আর যারা মিটিং-মিছিলে কম যায় তাদেরকে তুলনামূলক খারাপ সিট দেওয়া হয়। সিট বণ্টণে এ ধরনের তারতম্য করা খুবই দুঃখজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রশিদুল ইসলাম শেখ বলেন, একটা হলে প্রভোস্ট নেই এটা কল্পনা করা যায় না। খুব দ্রুত হলে প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া উচিত।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ না থাকা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম খুলেছে মাত্র। এই বিষয়টা আমরা দেখছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই প্রভোস্ট নিয়োগ করা হবে।”