ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচিতে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য ভবনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়।
সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য ভবনসংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে জমায়েত হয়ে ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আখতারুজ্জামান বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক মানবিক মূল্যবোধ ধারণ করতেন, সেই মূল্যবোধে আমাদের নতুন প্রজন্ম গভীরভাবে উজ্জীবিত এবং অনুপ্রাণিত।”
স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে এটি অন্যতম একটি বড় অর্জন বলে দাবি করেন তিনি।
ঢাবি উপাচার্য আরও বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে যেই স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সক্রিয় ছিল, নবপ্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রকে বিনষ্ট করার জন্য যে ধরনের অপপ্রয়াস ও ষড়যন্ত্র ছিল- ২০২২ সালে এসেও আমরা লক্ষ করছি যে, কতিপয় অপশক্তি দেশে এবং বিদেশে সে রকম ষড়যন্ত্র করছে।”
মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার জীবন দর্শনের আলোকে যে বাংলাদেশ বিনির্মিত হচ্ছে, তার গতিধারাকে যেসব অপশক্তি রুদ্ধ করতে চায়, তাদের রুখে দেওয়া আজকের দিনে প্রত্যয় হওয়া উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাবি ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাবি ও ছায়ানটের উদ্যোগে সংগীতানুষ্ঠান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে (টিএসসি) সংগীত বিভাগ, নৃত্যকলা বিভাগ এবং থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে, দিবসটি উপলক্ষে বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিভিন্ন হল এবং আবাসিক এলাকার মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য উপাসনালয়ে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।