বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বৃষ্টিতে ভিজে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর একাংশ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের করিডোরে একত্রিত হন শিক্ষকরা। এসময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। সেখানে প্রায় ৭০ জন শিক্ষক এবং কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মিছিলটি লাইব্রেরির সামনে থেকে বের হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়-৭১ স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় তাদের হাতে ‘তামাশা বন্ধ করুণ’, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দাও, ছাত্র হত্যা বন্ধ কর’, ‘আটককৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাই’ লেখা প্লেকার্ড দেখা যায়।
মিছিল শেষে বাকৃবির ‘সোনালী দল’ এর সাবেক সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “এ সরকার মানুষকে কথা বলতে দিচ্ছে না, টুটি চেপে ধরছে। নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে পাখির মতো মানুষ মারছে। সেই সময়ে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে গণমিছিল করে এখানে এসে দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেদের বিবেককে পরিষ্কার করেছি।”
এই শিক্ষক আরও বলেন, “সামনে যতদিন এই জালিম সরকার, গণহত্যাকারী সরকার, মাফিয়া সরকার দেশ থেকে বিদায় না নেবে, ততোদিন পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমরা শতভাগ একাত্মতা ঘোষণা করলাম এবং এই জালিম সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।”
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
































