• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ মুহররম ১৪৪৬

বেরোবিতে ভিসি ও প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ


বেরোবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
বেরোবিতে ভিসি ও প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলা এবং শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিশ্চুপ থাকার কারণে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি ও প্রক্টরের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ আবু সাঈদ গেইটের (পূর্বের ১ নম্বর গেইট) সামনে এই কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে রংপুরের খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে আসেন। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ নিহত হন।

আবু সাইদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুরের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “কাল আমাদের ভাই আবু সাঈদ মারা গেছে। তখন ভিসি ও প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চুপ ছিল। তার কেউ বাধা দেয় নাই। তারা কোথায় ছিল? তাদের কারণেই আজ আমরা আমাদের সহপাঠি, ভাইকে হারিয়েছি। ভিসি ও প্রক্টরের দায়িত্বহীনতায় আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। এই ১৫ বছরে এখনো এই রকম ঘঠনা গটে নাই, এখন কেন ঘটল?  আমরা তাদের পদত্যাগ চাই।”

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘হই হই রই রই, ভিসি তুই গেলি কই’,  ‘ভিসির চামড়া, তুলে নেব আমরা’,  ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে- রাজাকার রাজাকার’, ‘এই বাংলার মাটি- রাজাকারের ঘাঁটি’, ‍‍`মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্র কারও বাপের না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

Link copied!