ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল থেকে শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঞ্জুরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে হলের ১৬৫ নম্বর রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মঞ্জুরুলের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার রাজপাঠ গ্রামে। তিনি ওই এলাকার দেলোয়ার শেখের ছেলে।
হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ওই রুমে মঞ্জুরুলসহ মোট আটজন শিক্ষার্থী থাকতেন। বিকেলে রুমের অন্য সদস্যরা যখন বাইরে ছিলেন, তখনই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন মঞ্জুরুল।
সহপাঠীরা আরও জানান, প্রায়ই মঞ্জুরুলকে একা থাকতে দেখা যেত। কথা কম বলত। ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তা ও হতাশা থেকেই সে আত্মহত্যা করতে পারে।
এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান বলেন, “মঞ্জুরুলের মৃত্যুর বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে জেনেছি। অনেকেই বলছে সে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু এটা মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে সে আত্মহত্যা করেছে, নাকি অন্য কোনো কারণ ছিল।”
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) টিপু সুলতান বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষসহ আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরও বলেন, “কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানতে পারিনি। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।”