• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন জবির ৩৮ শিক্ষার্থী


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৩, ০৯:৪৫ পিএম
সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়েছেন জবির ৩৮ শিক্ষার্থী

সেন্ট মার্টিনের বৈরী আবহাওয়ায় আটকা পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৩৮ জন শিক্ষার্থী। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। ব্যাচ ট্যুরে গিয়ে সেখানে তারা আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সেন্ট মার্টিন থেকে বেলা আড়াইটার দিকে শিপে তাদের ফেরার কথা থাকলেও সমুদ্রের লঘুচাপ, ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করার ফলে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এই অবস্থায় তারা ফিরতে পারেননি।

ট্যুর গাইড আব্দুল বারেক ও একাধিক শিক্ষার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্যুরে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার ফেরার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) শিপ বন্ধ থাকায় শনিবার (৭ অক্টোবর) অবস্থা ভালো থাকলে রওনা দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ট্যুর গাইড হিসেবে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেক বলেন, “আমাদের চলে যাওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবারই। কিন্তু এদিন জাহাজ বন্ধ। তাই যেতে পারিনি। এখানে দুই দিন থাকার কথা। কিন্তু নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় এখন তো এখানে খাদ্যসংকটও দেখা দিয়েছে।”

সেন্ট মার্টিনে আটকা পড়া এক জবি শিক্ষার্থী ও বাঁধন জবি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আলেমা আক্তার লিজা জানান, দুই দিন বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিপ বন্ধ ছিল। এখন আবহাওয়া ঠিক হলেও যাত্রী সঙ্কটের কারণে নাকি শিপ ছাড়ছে না। এদিকে শিপ ও ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্যসংকট দেখা দিচ্ছে। এখনো চরম আকার না নিলেও পরে কি হবে বোঝা যাচ্ছে না।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, “দ্বীপে তরিতরকারি, ডিম, ব্রয়লার মুরগি নেই। কিছু দোকানে আলু, চাল ও ডাল রয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরাও বন্ধ রয়েছে। দ্বীপের সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা, হোটেল ও রিসোর্টগুলোর কর্মচারীসহ প্রায় ১২ হাজারের মতো লোক রয়েছেন। তারাও নিত্যপণ্যের সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে নিত্যপণ্য সামগ্রিক নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে সার্ভিস ট্রলারে করে মালামাল পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪টি বোটে সেখানে খাবার পাঠানো হয়েছে। তবে কোনো ধরনের পর্যটক পরিবহন করা যাবে না বলে নির্দেশনা ও দেওয়া হয়েছে।”

সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. সেলিম হোসেন বলেন, “আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা সতর্কসংকেত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বলবৎ থাকায় পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসেনি। ফলে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের বৃহস্পতিবারও দ্বীপে অবস্থান করতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি শুনেছি ৩৮ জন শিক্ষার্থী সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছে। তারা হোটেলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তো তারা আসতে পারবে না। আর্থিক প্রয়োজন হলে বিভাগ তা দেখবে। আর প্রশাসনিক কোনো সহায়তা লাগলে আমরা তো আছি। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”

Link copied!