• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

নোবিপ্রবিতে জিপিএর প্রাধান্য, ভর্তি-ইচ্ছুকদের ক্ষোভ


নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১, ১২:১৯ পিএম
নোবিপ্রবিতে জিপিএর প্রাধান্য, ভর্তি-ইচ্ছুকদের ক্ষোভ

এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অটোপাসের বিষয়টি মাথায় রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে ২০ নম্বর রেখেছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, গুচ্ছভুক্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের জন্য আলাদা নম্বর রাখেনি। 

কিন্তু নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ-১০০ নম্বর, এসএসসিতে যথাক্রমে ৫০ এবং জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে দেওয়া অটোপাসের এইচএসসিতে ৫০ নম্বর রেখেছে। বলা চলে এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফলের ওপরই এখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নির্ভর করছে। নোবিপ্রবির ভর্তি সার্কুলার প্রকাশ করার পর পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। জিপিএতে-১০০ নাম্বার এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে তারা দাবি করেন।

জিএসটি স্কোর ৬২.৫ পাওয়া একজন ভর্তিচ্ছু তানভীর শরিফ বলেন, “জিপিএর ওপর ১০০ নম্বর রাখা আমি অযৌক্তিক মনে করছি। জিপিএর ১০০ রাখা মানে জিপিএর নাম্বার দিয়ে মূলত মেরিট পজিশন নির্ধারণ করা হচ্ছে। আমি ৬২.২৫ পেয়েও যারা ৪৫ পেয়েছে তাদের নিচে পড়ে যাচ্ছি শুধু জিপিএর ওপর ১০০ নম্বর রাখার কারণে। তাহলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যৌক্তিকতা কী। জিপিএর নম্বরের ওপর নির্ধারণ করেই মেরিট প্রকাশ করতে পারত। তা ছাড়া এবার যেহেতু এইচএসসিতে অটোপাস দিয়েছে আর এই অটোপাসে সঠিক মেধার মূল্যায়ন হয়নি।”

নুর মোহাম্মদ আতিক নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “যেখানে ঢাবি, চবি, জবি, জাবিসহ আরও অনেক ভার্সিটি ২০-এর বেশি জিপিএ মার্ক রাখেনি, সেখানে নোবিপ্রবি ১০০ ধরে, জাতীয় ভার্সিটির মতো জিপিএ বেজড করে ফেলবে নাকি? এখন একজন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় পেল ৩০ তার জিপিএতে আছে ১০০, আরেকজন পরীক্ষায় পেল ৫০ তার জিপিএতে আছে ৭৫ তাহলে ৩০ পাওয়াটা এগিয়ে গেলো না? এটা তো চরম বৈষম্য। পাবলিক ভার্সিটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ফলো করবে কেন?“

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার-উল-আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষার জিপিএর বিষয়টি এ মুহূর্তে আমার খেয়াল নেই। আমি জিপিএ সম্পর্কে ঠিক বলতে পারব না। বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য ভর্তি কমিটির আহবায়কের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী ভর্তি কমিটির আহবায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। 

নোবিপ্রবির সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহবায়ক ও বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএর যে সিদ্ধান্ত হয়েছে এটি ভর্তি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা এবারে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারলেও এসএসসি পরীক্ষার সময় তারা পড়াশোনা করেই পরীক্ষা দিয়েছে সেইদিক বিবেচনায় আমরা জিপিএকে গুরুত্ব দিয়েছি। এখন যারা আবেদন করবে আমাদের ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্ত মেনেই আবেদন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, যেহেতু জেএসসি ও এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফলাফল দেওয়া হয়েছে সুতরাং এটা অটোপাস হলেও ভ্যালুলেস নয়। কারণ, যারাই জেএসসি এবং এসএসসি ভালো করেছে তারাই কিন্তু এইচএসসিতে ভালো করেছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন ২৩ তারিখ একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং রয়েছে সেখানে আমরা বিষয়টি আলোচনা করব।

Link copied!