চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক চট্টগ্রামের ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ৫৭টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে ১৫টি এলাকায় শতভাগ এডিসের লার্ভা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
চলতি মাসে এ গবেষণার রিপোর্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
মশকনিধনে ব্যবহৃত ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গুণগত মান পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এর অংশ হিসেবে গত ১৪ মার্চ ব্যবহৃত ওষুধ পরীক্ষা করতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারকে অনুরোধ করে চসিক।
২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য। কিন্তু দুই দফা চসিকে বাজেট পেশ করেও পাস না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেননি চবির গবেষকরা। সর্বশেষ গত ২২ জুন বাজেট পাস হলে ৫ জুলাই থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেন গবেষকরা।
টানা ২৫ দিন ৯৯টি এলাকা পরিদর্শন করে নগরীর ৫১টি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এতে ১৫টি স্থানে মিলেছে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস।
বিভিন্ন এলাকার বাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের পাত্র, দোকানের ব্যাটারির সেল ও টায়ার এবং রাস্তার ধারে পাইপে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে মিলেছে এডিস মশার এসব লার্ভার উপস্থিতি। এসব এলাকা থেকে সংগৃহীত লার্ভার শতভাগই ছিল এডিসের।
গবেষকদলের আহ্বায়ক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, “মশার আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতায় কার্যকর ওষুধ নিশ্চিতকরণে একটি কমিটি গঠন করেন চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার। এরপর ৫ জুলাই থেকে ওই কমিটি ৫৭টি স্থান থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ১৫টি স্পটে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।”
রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, অনেকগুলো লার্ভা লালন-পালন করে এখন মশা হয়ে গেছে। মশাগুলোর ওপর ওষুধ প্রয়োগ করে কার্যকারিতা দেখছি। গবেষণার চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি মাসে সিটি করপোরেশনকে দেব। সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। এ গবেষণা থেকে কার্যকর মশকনিধক ওষুধ সম্পের্কও জানা যাবে বলে জানান তিনি।