• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

গল্প, আড্ডা আর গানে প্রাণ ফিরেছে ‘শান্তিনিকেতনে’


নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২১, ০২:১১ পিএম
গল্প, আড্ডা আর গানে প্রাণ ফিরেছে ‘শান্তিনিকেতনে’

নিস্তব্ধতার বিদায়ে ফিরেছে প্রাণ। আনন্দ, খুশি, আড্ডা, গানে মুখরিত হয়েছে চারপাশ। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে অবস্থিত শান্তিনিকেতনে এই দৃশ্যের দেখা মেলে।

চারটি ছোট্ট দোকান, চারপাশে ছড়িয়ে থাকা কাঠের বেঞ্চি, সারি সারি গাছের ছায়ায় গড়ে ওঠা শান্তিনিকেতন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে, গল্পে, আড্ডা আর গানে। 

শীতের সকালের কুয়াশাঘেরা নিস্তব্ধ প্রকৃতি, সতেজ দিন, কাশফুল আর সূর্যমুখির প্রাচুর্য উপভোগের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শান্তিনিকেতনে গাছের ছায়ায় দূর হয় ক্লান্তি-অবসাদ।

এখানে কেউ এসে বসছে সারা দিনের ক্লান্ত দেহের শান্তির খোঁজে, করছে বন্ধুদের সঙ্গে অজানা নানান গল্প, কেউবা গিটার হাতে গানের সুরে মাতিয়ে তুলছে চারপাশ আর চায়ের প্রতিটা চুমুকে চুমুকে সুরের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে সবাই। গ্রুপে গ্রুপে বেঞ্চে বেঞ্চেও চলছে গান, কোথাও হচ্ছে লোকসংগীত, কোথাও বা ব্যান্ডের গান। যেন এক প্রাণবন্ত চিত্রের সাক্ষী এই শান্তিনিকেতন।

করোনা মহামারির বিপর্যয় কাটিয়ে ১৯ মাস পর খুলেছে হল। ক্লাস শুরুর তারিখ ঠিক হওয়াতে ক্যাম্পাসে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের কাছে পেয়ে জমে থাকা গল্পের ভাণ্ডার খুলে মেতে উঠছে সবাই। সবার মুখে আনন্দের ছাপ, উচ্ছ্বসিত সকলে। 

পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান লোমান বলেন, “নোবিপ্রবির শান্তিনিকেতন মানেই ভালো লাগার জায়গা, মনকে প্রফুল্ল করার জায়গা। কিন্তু প্রাণ চঞ্চল এই শান্তিনিকেতন করোনার তাণ্ডবে কেমন যেন মনমরা হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ ৬২১ দিন পর ক্যাম্পাস খোলার নোটিশে আবারও প্রাণ ফিরে এসেছে শান্তিনিকেতনে।”

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম ইবনে মাহবুব বলেন, “দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাস তার চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করছে। আমার কাছে ‘শান্তিনিকেতন’ এক অন্য রকম স্বস্তির জায়গা। এখানে বন্ধুদের সঙ্গে দেওয়া আড্ডা, গল্প, গান জোগায় অন্যরকম এক অনুভূতি। দীর্ঘদিন পর এমন আড্ডাচিত্র চারপাশকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এইচ এম মোবাশ্বার বলেন, “দীর্ঘ ১৯ মাস পর ক্যাম্পাস এভাবে আগের মতো শিক্ষার্থীদের পদচারণ দেখে অন্য রকম একটা শান্তি কাজ করছে। শান্তিনিকেতনে চায়ের কাপের টুং টাং শব্দ, ছোট ছোট ভিন্ন ভিন্ন গোল মিটিং আর ভেসে আসা দলবেঁধে গলা ছেড়ে গাওয়া গানের সুর আমায় বরাবরেই মতোই মুগ্ধ করেছে। এভাবেই শান্তিনিকেতনসহ পুরো ক্যাম্পাস ফিরুক আবার আগের রূপে। মুখরিত হোক শিক্ষার্থীদের পদচারণে এটাই চাওয়া।”

Link copied!