• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩০, ১২ শা'বান ১৪৪৬

ইবির খালেদা জিয়া হলের তালা ভেঙে চুরি


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২১, ১১:১৩ এএম
ইবির খালেদা জিয়া হলের তালা ভেঙে চুরি

করোনাকালীন বন্ধ থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবাসিক হলে কক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য সামগ্রী ছাড়াও বিভিন্ন ভবন থেকে নির্মাণসামগ্রী চুরি হচ্ছে।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলে চুরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় হলের ৯টি কক্ষের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তবে চুরির ঘটনা কবে ঘটেছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি হল কর্তৃপক্ষ বা কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ থাকায় হলের কনস্ট্রাকশন (রিপেয়ারিং) কাজ চলছিল। এর সুবাদে হলের চাবি ছিল ঠিকাদারদের কাছে। অন্য দিনের মতো শ্রমিকরা কাজে এলে হলের নিচতলার বারান্দার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান।

নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, প্রাচীর টপকে গ্রিল ভেঙে হলের ডাইনিংয়ে ঢোকে চোর। ডাইনিং থেকে ৬-৭টি বেসিনের স্টিল ট্যাপ চুরি হয়েছে। যেগুলো নতুন লাগানো হয়েছিল। হলের দক্ষিণ ব্লকের ৯টি কক্ষের তালা ভাঙা পাওয়া গেছে। হল বন্ধ থাকায় কক্ষ থেকে কী কী জিনিসপত্র চুরি হয়েছে সেসব বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অবগত হয়েছি। এটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা।” রোববার ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল থেকে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সাবমারসিবল পাম্প চুরির ঘটনা ঘটে। এর কিছুদিন পর শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১২০ নম্বর কক্ষ থেকে বৈদ্যুতিক পাখা, ব্যাগ, পোশাকসহ নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী চুরি হয়। এ ছাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে ছাত্রীদের অলংকার ও পোশাক চুরি এবং রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবনের পাশ থেকে দুই ভ্যান টাইলস ও আট কার্টন বৈদ্যুতিক তার চুরিসহ বিভিন্ন ভবন থেকে নির্মাণসামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবনের নির্মাণসামগ্রী চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর। ওই কিশোর প্রক্টরিয়াল বডির কাছে পাম্প ও টাইলস চুরির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং চুরির ঘটনায় জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে। পরে ওই কিশোরকে ইবি থানায় সোপর্দ করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোনো অভিযুক্তকে আটক করতে পারেনি ইবি থানা-পুলিশ।

Link copied!