প্রসব বেদনা ও সন্তান জন্মদানের কষ্টও দমিয়ে রাখতে পারেনি কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিপুর গ্রামের গৃহবধূ রেশমা বেগমকে। সন্তান জন্মের আধঘণ্টা পর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন এই পরীক্ষার্থী।
রেশমা বেগম সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও কালিপুর গ্রামের মো. শান্ত মিয়ার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন রেশমা বেগম। সেখানেই স্বাভাবিক পদ্ধতিতে (নরমাল ডেলিভারি) সন্তান জন্ম দেন তিনি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খুরশীদ আলম জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন রেশমা বেগম। সকাল সাড়ে ৮টায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম দেন তিনি। এদিকে আজ ছিলো এইচএসসির সমাজকল্যাণ বিষয়ের শেষ পরীক্ষা। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তিনি চলে যান পরীক্ষা দিতে।
পরীক্ষার্থী রেশমার স্বামী মো. শান্ত জানান, তার স্ত্রী রেশমা গর্ভবতী অবস্থায় এই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবার ছিলো তার শেষ পরীক্ষা। কিন্তু সকালে তার প্রসব ব্যথা শুরু হয়। সে সময় তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শান্ত বলেন, “পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে সন্তান জন্মদান করে আমার স্ত্রী তার শেষ পরীক্ষায় অংশ নিতে তার নির্ধারিত কেন্দ্রে ছুটে যান।”