সরকারি সহযোগিতা ও কৃষি বিভাগের পরামর্শের অভাবসহ নানামুখী সমস্যায় পড়ে লোকসানের মুখে ফুল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন লালমনিরহাটের ফুলচাষিরা।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার তেলীপাড়া এলাকায় তিন বিঘা জমি লিজ নিয়ে হরেক রকমের ফুলের চাষ করছেন আব্দুর রশিদ। বাগানে হরেক রকমের ফুলের গাছ থাকলেও দেখা মেলেনি ফুলের। গোলাপ আর গাঁদা ফুলের গাছ ছাড়া আর কোনো গাছেই তেমন ফুল আসেনি।
আব্দুর রশিদ এক যুগের বেশি সময় ধরে লালমনিরহাট শহরে রুপন ফুলবিতান নামের একটি দোকান দিয়ে ফুলের ব্যবসা করে আসছেন। তার দোকান থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুল ক্রয় করেন ক্রেতারা। অন্য জেলা থেকে ফুল ক্রয় করে আনলে ফুলের মূল্য ক্রেতাদের কাছে বেশি নিতে হয় বলে তিনি নিজেই ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েন। তিনি পাঁচ বছর ধরে ফুলের চাষ করে আসছেন। তার বাগানে গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, জার্ভেরাসহ বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছ রয়েছে। তার বাগানে ৫ জন মালী ও দোকানে ৫ জন যুবক কাজ করছেন। শুরুর দিকে ফুল চাষে লাভের মুখ দেখলেও গত কয়েক বছর থেকে লোকসানে পড়েছেন তিনি।
ফুলচাষি আব্দুর রশিদ রুপন বলেন, “লালমনিরহাট জেলায় আমি একমাত্র বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ করছি। কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শের অভাবে আমার বাগানে ফুলের ফলন কমে গেছে। তিন বিঘা জমিতে যা বিনিয়োগ করেছি তাতে আমি বর্তমানে লোকসানের মধ্যে রয়েছি। আমি কৃষি অফিসের পরামর্শ চাই। আমি আশাবাদী কৃষি অফিসের পরামর্শ পেলে সফলতার মুখ দেখব।”
তেলীপাড়া এলাকার ইমাম উদ্দিন (৫৫) বলেন, “আমি কয়েক বিঘা জমিতে ধান, পাঠ, সবজিসহ বিভিন্ন চাষাবাদ করে থাকি। আমার পাশের জমিতে ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। এই বাগানে ফুলের গাছ অনেক থাকলেও ফুল তেমন দেখা যায় না।”
এ বিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মারুফা ইফতেকার সিদ্দিকা বলেন, “ফুলচাষিদের জন্য আমাদের সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। তবে আমরা ফুলচাষিদের কারিগরি পরামর্শ দিতে পারি।”