• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কোথায়?


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০২:১৮ পিএম
প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কোথায়?

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলার প্রধান আসামি পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁসি এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া সাতজনকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।

সিনহা হত্যা মামলা ছাড়াও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের করা মামলা কাঁধে বয়ে বেড়াচ্ছেন প্রদীপ কুমার দাশ। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন প্রদীপ। এ সময়টিতে পাননি স্ত্রী-সন্তানের দেখা। দুদকের মামলা থেকে বাঁচতে পলাতক স্ত্রী চুমকি। মূলত প্রদীপ গ্রেপ্তারের পর থেকেই তার সন্ধান মেলেনি। অপর দিকে, প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা চট্টগ্রামের বাড়িসহ সব সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করেছে প্রশাসন।

প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার বাদী দুদক চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় প্রদীপের স্ত্রী চুমকি পলাতক। চুমকি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে দাপ্তরিক চিঠি দিয়েছে দুদক। তবে এর আগেই তিনি দেশ ছেড়েছেন কি না, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই দুদকের কাছে। 

২০২০ সালের ২৩ আগস্ট মামলাটি করেন রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত।

এ মামলার পর থেকেই লাপাত্তা প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় নিজেদের গড়ে তোলা ‘লক্ষ্মী কুঞ্জ’ নামে বাড়িটিতে সন্তান নিয়ে থাকতেন তিনি। সেই বাড়িতেও মেলেনি তার সন্ধান। স্থানীয়রা বলছেন, প্রদীপ গ্রেপ্তারের পর থেকেই বাড়িটিতে থাকছেন না চুমকি। তবে কোথায় থাকেন জানেন না কেউ।

এদিকে, ১৭ জানুয়ারি দুদকের করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও তা স্থগিত করেন আদালত। চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করে আসামিপক্ষ। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করা হয় তাদের পক্ষ থেকে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত করে আদালত। ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

Link copied!