কক্সবাজারের চকরিয়া ডুলাহাজারার মালুমঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয় ভাইয়ের স্ত্রীর চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
বুধবার (২ মার্চ) নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও অনুদানের চেক হস্তান্তরের সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একসঙ্গে ছয় ভাই নিহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। সরকারের পক্ষ থেকে হাজার কোটি টাকা অনুদান দিলেও ছয় সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না। স্বজন হারানোর বেদনা কেমন, তা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন এবং বোঝেন। তিনি এ ঘটনার পর থেকে প্রতি মুহূর্তে খবর নিয়েছেন।”
মো. ফরিদুল হক খান আরও বলেন, “সরকার এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য জমিসহ বাড়ির তৈরির ব্যবস্থার কাজ করছেন। দুর্ঘটনায় বেঁচে ফেরা মৃত সুরেশ চন্দ্র সুশীলের সন্তান প্লাবন সুশীল ও নিহত ছয় ভাইয়ের স্ত্রীদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।”
এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সকাল ১১টায় কক্সবাজার থেকে সড়কপথে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটে হাসিনা পাড়ার প্রয়াত সুরেশ চন্দ্র সুশীলের বাড়িতে পৌঁছান। পিকআপ চাপায় নিহত ছয় ভাইয়ের মা, তাঁদের পরিবার ও স্বজনদের খোঁজখবর নেন ও সমবেদনা জানান। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার করে ৯ পরিবারকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা জাফর পরিবারের কাছে নগদ এক লাখ টাকা তুলে দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শক সুরেশ চন্দ্র সুশীলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটের নার্সারি গেট এলাকায় পিকআপ ভ্যান চাপায় নিহত হন ছয় ভাই অনুপম সুশীল, নিরুপম সুশীল, স্মরণ সুশীল, দীপক সুশীল, চম্পক সুশীল ও রক্তিম সুশীল। এতে গুরুতর আহত বোন হীরা সুশীল। তার মধ্যে প্লাবন সুশীল সুস্থ হলেও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। বোন হীরা সুশীল এখনো মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।