• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৪


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১, ০৪:৩৫ পিএম
নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৪
ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাজারুল (৪০) ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী আদিত্য রায় (১৭) এবং সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা বেগম মারা যান। এর আগে রোববার রাতে শাহপলি (২৭) নামে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত মাজারুলের চাচা আজমল বলেন, ভাতিঝা (মাজারুল) শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। অবস্থার অবনতি দেখে  সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিয়ে রংপুর মেডিকেলে রওয়ানা হই। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।”

এছাড়া আদিত্য রায়ের চাচাতো ভাই রতিকান্ত রায় বলেন, “আমার ভাই এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ভাই সেখানে সহিংসতায় অংশ নিতে যায়নি। ভোটের উৎসবে অংশ হতে কেন্দ্রের পাশে গিয়েছিল। কিন্তু তাকে লাশ হয়ে ফিরতে হলো।”

নিহত রহিমা বেগমের স্বামী আব্দুল বাকি বলেন, “সকাল ১০টার দিকে আমার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে আসছি।”

রোববার রাতে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত গ্রামপুলিশ সদস্য সগেন বলেন, “ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি করছিল প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের বিতর্ক হয়। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নৌকার প্রার্থী শহীদ হোসেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলাফল ঘোষণার পর ক্ষিপ্ত  কিছু এলাকাবাসী ভোটকেন্দ্র অবরুদ্ধ করে। এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পালাতে সক্ষম হন। তবে একটি রুমে তিনজন পুলিশ ও ১২-১৩ জন আনসার সদস্য আটকা পড়েন।”

সগেন আরো বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোটে দায়িত্বরত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব মো. সামসুজ্জামান কিছু পুলিশ ও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্যসহ উপস্থিত হন। নিয়ন্ত্রণ অনুকূলে না থাকায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীর আক্রমণের স্বীকার হয়ে গুলি ছোড়ে বিজিবির সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান এবং চারজন আহত হন।”

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা কোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিল না। নিজেদেরই হামলার স্বীকার হতে হয়েছে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়েছেন।”

জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, “এছাড়া আহত অপর তিনজন মারা গেছেন। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।”

আরেকজনের মরদেহ ঠাকুরগাঁওয়ের পথে। তার মরদেহও উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

Link copied!