নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে সোমবার (২৮ মার্চ) গৃহবধূ ও ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান ব্যবসায়ী।
গৃহবধূর নাম মোসাম্মৎ পিংকি আক্তার (২০)। তিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার ৬ নম্বর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সজিব মিয়ার স্ত্রী।
আজ দুপুরের দিকে উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সকাল ৬টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পিংকি স্বামীর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
অপরদিকে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে ধানক্ষেতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মিরাজ মাঝি (৪৭) নামের এক ব্যবসায়ী মারা যান। মিরাজ ওই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি স্থানীয় শান্তিরহাট বাজারে মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সকালে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে সেচ দিতে যান মিরাজ। একপর্যায়ে অসাবধানতা বসত বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
