রাজশাহীতে গীর্জায় পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে আসায় মো. গোলাম চৌধুরী (৩৪) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, রোববার সকাল আনুমানিক ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে অজ্ঞাতানামা এক ব্যক্তি উত্তম মেষ পালক গির্জার প্রার্থনাস্থলে লাল কাপড়ে মোড়ানো একটি ব্যাগ গোপনে রেখে চলে যায়। গীর্জার সিস্টার শান্তির সন্দেহ হলে তিনি ব্যাগ খুলে দেখতে পান যে, ওই লাল ব্যাগের মধ্যে একটি কোরআন শরীফ। বিষয়টি তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান।
ওই সংবাদের ভিত্তিতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গীর্জায় উপস্থিত হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে আরএমপি পুলিশ কমিশনার মো. আবু কালাম সিদ্দিকের দিক-নির্দেশনায় উপপুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) বিভূতি ভূষণ বানার্জীর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে সহকারি পুলিশ কমিশনার (কাশিয়াডাঙ্গা) মো. আরিফুল ইসলাম, কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান ও মহানগর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. আশিক ইকবাল সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেন।
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে সেই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সেই ব্যক্তির অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ওই ব্যক্তিকে বোয়ালিয়া মডেল থানার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার গোলাম চৌধুরী নগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবন গ্রাম নিউ কলোনীর মৃত কুদ্দুস চৌধুরীর ছেলে।
প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে পুলিশ জানিয়েছে, বড় দিনের ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় পবিত্রতা ও দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে তিনি উত্তম মেষ পালক গীর্জায় পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে কথিত ঈসা নবী বলে দাবি করেন এবং তার ওপর প্রতিনিয়ত ওহি নাজিল হয় বলে স্বীকার করেন।