গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বৃদ্ধি পাচ্ছে নদ-নদীর পানি। এতে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ও সল্লা ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামে রোপণকৃত আমন ধান তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ফসল রক্ষায় উপজেলার হাতিয়ায় এলংজানী নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ দুটি স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েক শ কৃষক বাঁধ নির্মাণ করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৭-৮ গ্রামের শতাধিক কৃষক নিজেদের ফসল বাঁচাতে বালুভর্তি বস্তা দিয়ে হাতিয়া এলাকায় নদীতীরে বাঁধ দিচ্ছেন। গত ৬ দিন ধরে একাধারে দুটি স্থানে প্রায় আড়াই শ ফুট জায়গা জুড়ে এ বাঁধ হচ্ছে।
কৃষক আব্দুল আজিজ, লুৎফর রমান, ইউসুফ ও আরজু শেখসহ অনেকে বলেন, “সল্লা, দেউপুর, হাতিয়া, ভাওয়াল, বিল ছাইয়া, আনালিয়াবাড়ী, নরদহিসহ প্রায় ২০টি এলাকায় আমন ধানের আবাদ হয়েছে। অসময়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং হাতিয়া এলাকায় এলংজানী নদীর তীরে ভাঙন হওয়ায় আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এভাবে ৩-৪ দিন পানি বাড়লে ২০ গ্রামে রোপণকৃত ধান ডুবে আমাদের স্বপ্ন ভেসে যাবে। সরকারি সহায়তায় কাজ হলে আমাদের এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না। আমরা স্থায়ী টেকসই বাঁধ চাই।”
দশকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ মালেক ভূইয়া বলেন, “কৃষকরা ফসল বাঁচাতে হাতিয়া এলাকায় বাঁধ দিচ্ছেন। আমি জানার পর সেখানে বস্তা পাঠিয়েছি। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতা করব।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন বলেন, “স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি সহযোগিতা করার ব্যবস্থা নেই। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা করার কথা বলেছি। পরে বাঁধের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”