• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নদীগর্ভে বিলীন বিদ্যালয় ভবন, পাঠদান চলছে ফসলি মাঠে


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৩, ০৮:৩৩ এএম
নদীগর্ভে বিলীন বিদ্যালয় ভবন,  পাঠদান চলছে ফসলি মাঠে

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে ফসলি মাঠে ছাপড়া তুলে। রোদ উঠলে গরমে থাকা কষ্টকর। আর বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় বই-খাতা। এতে ব্যাহত হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।

সরেজমিন দেখা যায়, বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে খোলা মাঠে টিনের একটি ছাপড়া তুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছেন শিক্ষকরা। নামে মাত্র চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এক সঙ্গে সবাইকে নিয়ে এক শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন। এদিক ও দিক দিয়ে গবাদি পশুসহ কুকুর বিড়াল প্রবেশ করছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, যমুনা নদীতে স্কুলভবন ভেঙে যাওয়ার পর তাদের পড়াশোনার পরিবেশ আর নেই। খোলা মাঠে একটি টিনের ছাপড়ায় তাদের ক্লাস নেওয়া হয়। একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে অনেকেই ক্লাসে আসে না।

অভিভাবকরা বলেন, পড়াশোনার জন্য যে ধরনের পরিবেশ থাকা দরকার তা এখানে নেই। প্রধান শিক্ষক টিনের ছাপড়া তুলে ৫ থেকে ৮ জন ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসে থাকেন। এভাবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলতে পারে না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জিন্নাহ মোল্লা বলেন, “স্কুলটি যমুনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর আমি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তারা যদি কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেন তাহলে আমাদের এ এলাকার ছেলেমেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে না। তাছাড়া এই খোলা পরিবেশে কোনোদিনই শিক্ষা কার্যক্রম চলতে পারে না।”

মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, “যমুনায় স্কুলটি বিলীন হওয়ার পর থেকে খোলা মাঠে টিনের ছাপড়া তুলে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছি। তবে শিক্ষার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার তা আমরা দিতে পারছি না। এ জন্য অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসে না।”

এ প্রসঙ্গে বেলকুচি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুজাব আলী জানান, “চলতি বর্ষা মৌসুমে বড়ধুল ইউনিয়নের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। ওই দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে তার জন্য অস্থায়ীভাবে টিনের ছাপড়া তুলে শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে বলেছি। পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেছি।”

Link copied!