দীর্ঘ ১৯ বছর পর বহুল আলোচিত আব্দুল আলীম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আইনজীবী নুরুল ইসলাম ও তার ভাই সবজুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা এবং মইনুল হককে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মামলা থেকে ৩৮ জনকে অব্যাহতি প্রদান করেছেন আদালত। মামলা চলাকালে পাঁচ আসামির মৃত্যু হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামের জামিন খানের ছেলে আব্দুল আলীম। এ ঘটনায় নিহতের সহোদর আজমল খান বাদী হয়ে পরদিন দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানার তৎকালীন ওসি সুভাষ চন্দ্র সাহা ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ অভিযোগ তুললে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।
পরবর্তীতে সিআইডির তদন্ত শেষে ৪১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর সুনামগঞ্জ আদালত বার বার চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য করলেও চার্জ গঠন হয়নি। পরবর্তীতে ন্যায়বিচারের জন্য মামলাটি সিলেটে স্থানান্তর এবং অভিযোগ গঠনের জন্য বাদীপক্ষ ২০১২ সালে উচ্চ আদালতে রিট করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি এবং অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ১৪ মে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদলতের বিচারক ৪১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচারকার্য শুরু করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করলেন আদালত।