• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ স্থানীয়দের


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
সেতুর সংযোগ সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগ স্থানীয়দের
সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে সাইকেল উঁচু করে সেতু থেকে নামছে কিশোররা

প্রায় ১০ বছর আগে ফরিদপুরের সালথার বুড়িদিয়া-খোয়াড় সড়কের মালঞ্চ বিলের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের পর সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না দুই পাড়ের মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এভাবেই চলছে প্রায় ৬-৭ বছর। এতে ওই পথ দিয়ে চলতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের হাজার-হাজার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সালথা উপজেলার আটঘর ও গট্টি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বুড়িদিয়া ও খোয়াড় গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে মালঞ্চ বিল। বিলের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়ক যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দুই ইউনিয়নের গৌড়দিয়া, গোয়ালপাড়া, গোবিষন্দপুর, সেনহাটি, খোয়াড়, বুড়িদিয়া, নারায়ণপুর, সিংহপ্রতাপ, মেম্বার গট্টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল মাথায় নিয়ে বাজারজাত করছেন। এছাড়া সালথা সদরে কোনো পণ্য নিতে হলে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এছাড়া পায়ে হেঁটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হচ্ছে স্থানীয় শতশত শিক্ষার্থীকে।

সেতু সংলগ্ন সিংহপ্রতাপ স্কুলের সহকারী শিক্ষক রাজিয়া খানম বলেন, “৬-৭ বছর ধরে রাস্তার বেহাল দশার কারণে এই সেতুর ওপর দিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারে না। আমাদের স্কুলের ছেলে-মেয়েদের পায়ে হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। এতে অনেক সময় তারা সঠিক সময়ে স্কুলে আসতে পারে না, এতে লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে।”

সিংহপ্রতাব গ্রামের মো. কুদ্দুস মাতুব্বর বলেন, “সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের চলাচলে চরম অসুবিধা হচ্ছে। কৃষিপণ্য ও বিভিন্ন মালপত্র আনা নেওয়ায় সালথা উপজেলা সদরে যেতে হলে অন্য রাস্তা দিয়ে পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়।”

এ বিষয়ে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, “সেতুটির সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে কয়েক গ্রামের মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। যানবাহন তো দূরে থাক পায়ে হেঁটেও মানুষ চলতে পারে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।”

আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহীদুল হাসান খান সোহাগ বলেন, “জনগণের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংযোগ সড়কের বেহাল দশার কারণে মানুষের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে।”

এ প্রসঙ্গে সালথা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন শাহীন বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক দ্রুত মেরামত করার জন্য নতুন প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সড়কের কাজ শুরু হবে।

Link copied!