হিমালয়ের কোলঘেঁষা দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে গত দুইদিন ধরে শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। ভোর ও রাতের দিকে পড়ছে কুয়াশা আর শীতের আগমনে ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।
দিনের বেলায় সূর্যের প্রখর উপস্থিতিতে তাপমাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক থাকলেও রাতে হালকা কুয়াশার প্রভাবে তাপমাত্রা কমছে। ফলে রাতে শরীরে লেপ-কাঁথা কিংবা কম্বল জড়াতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন। এতে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে জেলার ৯ উপজেলার মানুষকে। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হচ্ছে শীত।
স্থানীয়রা বলছেন, হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এ বছর দ্রুত শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাতভর হালকা বৃষ্টির মত টুপ টুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে ধানের শীষে কুয়াশা বিন্দু বিন্দু জমতে দেখা যায়।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোরবেলা দেখা গেছে, হালকা কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাস্তা-ঘাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাকগুলো হেডলাইট চালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। অনেকেই হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছেন। অন্যদিকে বিকেলের পরও জেলায় শীত শীত অনুভূত হচ্ছে।

জেলা সদরের সুজামের মোড়ের চায়ের দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, “দুইদিন থাকি সন্ধ্যার পর হামার শীত শীত নাগে বাহে। গতকাল রাইত থাকি গরম কাপড় গায়ে দিয়ে দোকানদারি করতে হচ্ছে।”
তবে শীতের আগমন ঘটলেও গরম কাপড় ও লেপ তোষকের দোকানগুলোতে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক গরম কাপড় ব্যবসায়ী বলছেন শীতের লেপ-তোষক বানানেরা কাজ শুরু হতে আরও ২-৩ সপ্তাহ লাগবে।
এদিকে সকাল ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, “গত বছর এমন সময়ে কোনো কুয়াশা লক্ষ্য করিনি। এ বছর দুদিন ধরে সকালে বাইক নিয়ে বের হবার সময় হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। তাছাড়া হালকা বাতাসের কারণে ঠান্ডাও অনুভূত হচ্ছে।”
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মো. সবুর হোসেন জানান, দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়বে।