• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চাঁদপুরে নোনা ইলিশের বেচাকেনা জমজমাট


চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৩, ০৪:২৯ পিএম
চাঁদপুরে নোনা ইলিশের বেচাকেনা জমজমাট
ছবি : সংগৃহীত

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের পাশাপাশি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে নোনা ইলিশ। ইলিশ বিক্রি শুরুর আগে সকালে কয়েক ঘণ্টা হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি হয় নোনা ইলিশ। সোমবার (৬ নভেম্বর) সকালে মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি আড়তের সামনে স্তূপ দিয়ে বিক্রি হচ্ছে নোনা ইলিশ। একই সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে নোনা ইলিশের ডিম।

বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ীরা মণ হিসেবে কিনে নিচ্ছেন নোনা ইলিশ। নেত্রকোনা, জামালপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা আসছেন নোনা ইলিশ কিনতে।

মাছঘাটের ব্যবসায়ী হযরত আলী বেপারী বলেন, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা নরম ইলিশগুলো কেটে মাছঘাটের পাশেই নোনা ইলিশে পরিণত করা হয়। অর্থাৎ ইলিশ কেটে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এ ছাড়া হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এবং বরিশালের কালিগঞ্জ থেকে এ সময়ে নোনা ইলিশগুলো আড়তে আসে। ৮-১০ দিন নোনা ইলিশের বাজার থাকে। এরপর আর থাকবে না। বেশির ভাগ ময়মনসিংহ ও জামালপুরের ব্যবসায়ীরা এসব নোনা ইলিশ কেনেন।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার জানান, নোনা ইলিশের ঐতিহ্য বহু বছর থেকে। একসময় এভাবেই ইলিশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন হিমাগারে রাখার ব্যবস্থা আছে। যে কারণে নোনা ইলিশের বাজার এখন আগের মতো নেই। তবে দেশের কয়েক জেলার চাহিদার কারণে এখনো নোনা ইলিশ বিক্রি হয়।

নেত্রকোনা থেকে আসা ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন জানান, প্রতিমণ নোনা ইলিশ কিনেছেন ১১ হাজার টাকা করে। এসব নোনা ইলিশ নিজ এলাকায় সংরক্ষণ করবেন। আগামী বৈশাখ মাসে বিক্রি করা হবে এসব নোনা ইলিশ। এই এলাকায় বৈশাখ মাসে নোনা ইলিশের কদর বাড়ে।

জামালপুর এলাকার জেলে জামসেদ মিয়া বলেন, তিনি প্রায় ১০ মণ নোনা ইলিশ কিনেছেন। প্রতি মণের দর সাড়ে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা। আর ইলিশের নোনা ডিম প্রতি কেজি কিনেছেন ৫৫০ টাকা করে। 

Link copied!