কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নামে হত্যা মামলা করেছেন মো. আব্দুল বাতেন নামের এক ব্যক্তি। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) তিনি মামলাটি করেন।
জানা গেছে, রোবরার ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে গরু পাচার করতে গেলে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন আব্দুল বাতেনের ছেলে মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রৌমারী থানায় হত্যা মামলাটি করেন তিনি।
মামলার এজাহার সূত্রে পুলিশ জানায়, রোববার রাতে একদল গরু ব্যবসায়ী মোল্লারচর সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে ভারতীয় গরু পাচার করছিলেন। এ সময় টহলরত কুচনিমারা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে মানিক মিয়া বুকে ও কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তারা পুলিশ ও বিজিবির মামলার ভয়ে মানিক মিয়ার লাশ উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাঞ্ছারচর গ্রামের আব্দুল মোতালেব এর বাড়িতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রোববার বিকেলে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করে।
মো. আব্দুল বাতেন বলেন, “সীমান্তে আমার ছেলের মতো অনেককে ওরা গুলি করে হত্যা করেছে। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।”
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার বলেন, ভারতীয় সীমান্তে মানিক মিয়া হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেছেন। লাশের সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে বাঁ পাঁজরে একটি ছোট ফুটো এবং বুকের ডান দিকে আরেকটি ফুটো ছিল। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকি বলেন, “সীমান্তে গুলির ঘটনায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেছি। বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলির ঘটনা স্বীকার করেছে। আমরা সীমান্ত হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। নিহতের পিতা বিএসএফের নামে হত্যা মামলা করেছে এমন তথ্য আমার কাছে নেই। যদি মামলা করে থাকে তবে আমি আমার হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।”