• ঢাকা
  • রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, সাবেক স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৪


জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২২, ০৩:৩০ পিএম
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, সাবেক স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৪

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় সোনিয়া আক্তার (১৬) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর সাবেক স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

নিহত সোনিয়া উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার দত্তক মেয়ে ও বাটিকামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল জগন্নাথগঞ্জ পুরাতন ঘাট এলাকার লিপন মিয়ার ছেলে ও গৃহবধূর সাবেক স্বামী মাহিম (১৯), তার সহযোগী দৌলতপুর গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে মো. জয়নাল মিয়া (৪৫), মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে পল্লব হাসান (১৮) ও পঞ্চাশি গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে সাকিব হাসান (১৮)।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের গ্রামনিখাইয়ে জন্ম নেওয়া সোনিয়াকে সাত দিন বয়সে তার মামা গেন্দারপাড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়া দত্তক নেন। আট মাস আগে কুলপাল গ্রামের মাহিমের সঙ্গে সোনিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার ওপর নির্যাতন করতেন স্বামী মাহিম। দাম্পত্য কলহের কারণে কিছুদিন আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

বিয়ে ভেঙে গেলেও তাদের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ চলত। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) মাহিম দৌলতপুর বন্ধু পল্লবের বাড়িতে ডেকে নিয়ে বন্ধুদের নিয়ে সোনিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।

গৃহবধূ সোনিয়ার মা বানেছা জানান, তার মেয়ের সাবেক স্বামী মাহিমসহ তার বন্ধুরা ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করেন। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে বিষ ঢেলে দেন। মুমূর্ষু অবস্থায় সোনিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় রোববার ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভূক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”

Link copied!