নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে নেওয়া হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে নেওয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ ডাক্তারকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন জারি রয়েছে আজ। তারা হলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ও ডিএনএ ডাক্তার রবিউল।
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সবশেষ ৮ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। সেদিন রয়েল রিসোর্টের পাবলিক রিলেশন অফিসার জাকির হোসেন ও সাংবাদিক নুর নবী জনি নামের দুইজন সাক্ষী দিয়েছিলেন। এ মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, “মামুনুল হকের বিপরীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ ডাক্তারের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ সমন দেওয়া হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।”
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।”
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের এক নারীর সঙ্গে অবস্থানকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে আটক করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। পরে ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী।
এ ছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে সহিংসতায় রাজধানীর পল্টন থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
 
                
              
 
																 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    





































