• ঢাকা
  • বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ জ্বিলকদ, ১৪৪৪

নিজ দেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
নিজ দেশে ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে বাস্তুহারা হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার  ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। দিনটিকে রোহিঙ্গারা ‘কালো দিবস’ আখ্যা দিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন।

এ উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন পালন করেছেন রোহিঙ্গারা। এ সময় তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

সরেজমিনে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, ‘হোপ ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আশপাশের ক্যাম্প থেকে সকালেই রোহিঙ্গারা খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরাও যোগ দেন। পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তোলেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার শোয়াইব, মাস্টার নুরুল আমিন, মাস্টার জুবায়ের, মোহাম্মদ ইউসুফ, মাস্টার কামাল প্রমুখ।

সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, “আমরা আমাদের দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা এই ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছি। কারণ এই দিনে মিয়ানমার জান্তা সরকার আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে। এই দেশে আর কত বছর থাকব, আর থাকতে চাই না। আমরা আমাদের স্বদেশে ফিরতে চাই।”

সাধারণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী সৈয়দ উল্লাহ বলেন, “মিয়ানমার আমাদের দেশ। অনতিবিলম্বে আমাদের নিজ দেশে ফেরত নিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে প্রত্যাবাসন সফল করতে দেশটির পাশে থাকতে হবে।”

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলের মংডু, বুচিথং ও রাসেথং জেলার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। সেই সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। ওই দিনটি স্মরণে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ পালন করে আসছেন।

জানা যায়, রোহিঙ্গা গণহত্যার ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজারের আশ্রিত ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১২, ১৩, ৮, ১৯, ২০ ও ২২ নম্বর ক্যাম্পসহ অধিকাংশ ক্যাম্পে (শুক্রবার) একসঙ্গে ও পৃথকভাবে দিবসটি পালন করা হয়। তারা সেখানে মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ কয়েকটি দাবি জানান।

১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, “আজ রোহিঙ্গাদের গণহত্যা দিবস উপলক্ষে তারা একটি সমাবেশ করেছে। তাদের এই সমাবেশ ঘিরে পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”

Link copied!